একজন
চিত্রশিল্পী যেমন রঙের তুলিতে
তার ক্যানভাসকে রাঙিয়ে নেন, ঠিক তেমনি
ভাবে সুঁচের কালির মাধ্যমে শিল্পী তার সৃজনশীলতার বহির্প্রকাশ
ঘটান মানব শরীরে। তিনি
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সুপরিচিত ট্যাটু
আর্টিস্ট- সাইদুর রহমান ভুঁইয়ান।
যার
জীবনটাই যেন একটা চিত্রকর্মের
খেলা। বাংলাদেশের ট্যাটু আর্টিস্ট নামে যার সুপরিচিতি।
ধানমন্ডির হ্যাপি আর্কেড শপিং মলে, রয়েছে
তার ট্যাটু ষ্টুডিও। দেশি-বিদেশী ট্যাটু
প্রেমিকদের অনায়াসে ট্যাটু করিয়ে দিচ্ছেন এই শিল্পী। তার
স্টুডিওতে দেখা মেলে বাংলাদেশের
সুপরিচিত তারকাদেরও। তারাও এসে অনেক ট্যাটু
করিয়ে যান এই ট্যাটু
আর্টিস্টের কাছে থেকে।
মিডিয়া
ব্যাক্তিত্বের মধ্যে এই শিল্পীর অন্যতম
কাছের বন্ধু হল- বাংলাদেশের ফ্যাশন
মডেল চন্দন মজুমদার। যিনি একজন ট্যাটু
প্রেমিক ও তার বন্ধু
ট্যাটু আর্টিস্ট সাইদুরের ট্যাটুর কাজের বড় ভক্ত। সম্প্রতি
এই মডেল গত জানুয়ারির
১০ তারিখে ৩৩ তম বয়সে
পা রাখেন। জন্মদিনে প্রিয় বন্ধু সাইদুরকে তার নৈশ ভোজে
নিমন্ত্রণ করতে ভোলেননি। কিন্তু
এই ট্যাটু আর্টিস্ট তার কাজের প্রয়োজনে,
বন্ধুর জন্মদিনের দিন, চট্টগ্রাম থাকেন।
বন্ধু চন্দন ভীষণ ভাবে রেগে
গেলে, ঢাকায় ফিরেই বন্ধুকে বার্থডে হিসেবে গিফট করেন ট্যাটু।
গত বৃহস্পতিবার বন্ধু সাইদুরের স্টুডিওতে দেখা মেলে চন্দনের।
করিয়ে নেন তার নয়
নম্বর ট্যাটুটি।
এর আগেও তিনি তার
বন্ধু ট্যাটু আর্টিস্ট সাইদুরের কাছ থেকে ৩টি
ট্যাটু করান।
ট্রেডিশনাল
কম্পাস ডিজাইনের একটি সুন্দর ডিজাইন
চন্দনের বাম পায়ে করে
দেন সাইদুর। খোস-আলাপের একফাকে
ট্যাটু আর্টিস্ট সাইদুর বলেন- "চন্দন হচ্ছে একজন বড় মাপের
ট্যাটু প্রেমিক। যেহেতু ও একজন শিল্পী,
তাই এক শিল্পী, আরেক
শিল্পীর গুন্ বুঝে উঠতে
পারে। ওকে মানুষ চিনে
মডেল হিসেবে, কিন্তু ও ফটোগ্রাফি এবং
ফ্যাশন ডিজানিং এ ব্যাপক পারদর্শী।
তারই ট্যাটুর মতো একটা শিল্পকে
ও যেভাবে ভালোবাসে, সেভাবে খুব সম্মান করতে
জানে এই শিল্পকে। ওর
জন্মদিনে যেতে পারিনাই দেখে
খুব খেপে ছিল। কিন্তু
আমার দেওয়া বার্থডে গিফট পেয়ে সে
মহাখুশি। ওর স্কিনে ট্যাটু
নিয়ে কাজ করতে আমার
খুব ভালো লাগে, কারণ
ও নেকামি করেনা আর একদম স্থির
থাকে। যেটা একজন ট্যাটু
আর্টিস্ট প্রত্যাশা করেন। কারণ ট্যাটু চিরস্থায়ী
হয়। স্থির না থেকে নড়া-চড়া করলে ডিজাইন
নষ্ট হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। ট্যাটু
মোটেও আরামদায়ক নয়। বেশ ভালোই
ব্যথা হয়ে থাকে। চন্দনের
ধোর্য অনেক। আর পায়ে মূলত
ব্যথা অনেক বেশি লাগে।
কিন্তু ও সহ্য করে
গেছে আর ডিজাইনটা খুব
সুন্দর ফুটে উঠেছে।"
৩৩তম
জন্মদিনের ট্যাটু গিফট পেয়ে কিরকম
অনুভুতি জানতে চাইলে মডেল চন্দন জানান-
" বিশ্বাস
করুন, একদম রেগে গেছিলাম
সাইদুরের উপর। জন্মদিন বলতে
একান্ত কাছের মানুষদের সাথে একটু খাওয়া-দাওয়া ।
সাইদুর আমার জীবনের খুবই
কাছের বন্ধুর একজন। খুবই সুপরিচিত ও
জনপ্রিয় ট্যাটু আর্টিস্ট। সব থেকে ওকে
ভালো লাগার কারণ, ও একজন শিল্পী।
শিল্পীর কদর ও সম্মান
আমার কাছে সবার আগে।
এবারের জন্মদিনের বেস্ট গিফট পেলাম, ও
ট্যাটু করিয়ে দিয়েছে। এটাই ছিল গিফট।
এর আগেও ওর কাছ
থেকে আমি বেশ কয়েকটা
ট্যাটু করিয়েছি। সবাই বেশ প্রশংসা
করেছেন। আমি অবশ্যই ট্যাটু
লাভারদের সাইদুরের কাছ থেকেই ট্যাটু
করানোর পরামর্শ দিতে চাই। ও
খুব প্রফেশনাল আর ওর কাজ
খুবই নিখুঁত। আমার দোয়া ও
ভালোবাসা ওর জন্য।"